বস্তুতঃ ভাষা যেটাকে প্রকাশ করে সেটা হল ‘অলঙ্কৃত’ চিন্তা - কিন না thought embellished. কাব্যের ন্যায় তাই মানুষের কথোপকথনও is a refined product – a product of the intellect, not intuition. তাই intuition বা বোধির চর্য্যাই হতে পারে, চর্চা নয় - চর্চা বুদ্ধির এক্তিয়ারে পড়ে - মণ্ডন-মিশ্রণমুখী। কিন্তু ভাষা না থাকলে কি ভাব থাকে না? থাকে, সেই ভাবের যে ভাষা তা মৌনীর ভাষা, মুনির ভাষা (মুনি, তুঃ Greek, monos, একাকীত্বের অভিব্যঞ্জক, দ্রঃ বেদমীমাংসা, ১ম খণ্ড, অনির্বাণ প্রণীত), আর সেই প্রাণের ভাষা (মুখের নয়) দ্বারা ব্যাখ্যা দক্ষিণামূর্ত্তির মৌনব্যাখ্যানের সাথে প্রতিতুলনীয়। এইজন্যই বোধহয় প্রাচীন ভারতীয় মনীষা ভাষার অশ্রুত অবস্থাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
This blog attempts to highlight the personal reflections of Sudipta Munsi on problems - philosophical, aesthetical, socio-political, etc. It also contains his poems, essays, etc. written from time to time. Free, liberal and undaunted discussions of these are invited. No part of the contents of this blog may be reproduced in any way whatsoever without the written permission of the blog-owner.
Search This Blog
Saturday, November 6, 2010
Tuesday, November 2, 2010
The Novelty of Deception: Art and Artificiality
The very word "art" carries a sense of superficiality. So the beauty of art consists in the beauty of novelty. Again, what is the nature of this novelty? It is the "novelty of deception". This novelty may be compared to the one which Parvati uses to win over Siva. On further reflection I find that artistic media were not originally meant for artistic creations. They were simply meant for communication. But as soon as these media were used as instruments of artistic creations, they immediately started imparting a particular kind of novelty to the rudimentary matter of communication, which in its final expression is inscrutable and unanalysable. It is in this sense that language (and in an extended sense all other artistic media) retards communication. Thus poetic language is the language of silence. This is again due to the innate dynamism of the artist's medium. It is in this sense that the task of a translator is not merely carrying the "sense" or "message" of the original work into the target language, rather translation is "transcreation" - it is the creation of novel superstructures on a rudimentary base, as it were. This accounts for the individuality and novelty attached to different translations of a single work. On these grounds we may also seek to justify Archibald Macleish's contention that "A poem should not mean but be". It is, as the late Prof. R. K. Sen, M.A., D. Litt. (Department of English, University of Calcutta) remarked, "The rendering of mimesis as imitation is far from accurate. Mimesis should be better interpreted as "birth" of a new existent world through the union of Lexis and Idea." This "novelty of deception" also accounts for the difference lying between the "goodness" of an answer written to a question relating to a Navya Nyaya passage in a university examination and the "elegance" of a classical commentary (as that of Mathuranatha or Jagadisa) on the same Navya-Nyaya passage, or that between an idol-maker's clay idols and the potter's pots and jugs. It is the difference between 'nirmana' and 'nirmiti', discussed so beautifully by Abanindranath Tagore in the first chapter of his "Vagisvari Silpa Prabandhavali." It is also the difference between "suskam kastham patati agre" and "nirasa taruvara purato bhati". Thus the virtues of a work of art consists in its multi-dimensionality of interpretation, (synonymous with obscurity or ambiguity), which in turn is due to the inscrutable and inseparable "wholeness" that results from a perfect fusion of Form and Content, which may be compared to the Samarasya of the Tantrikas, or the Yuganaddha of the Tantric Buddhists. It is in this sense that ambiguity is an essential precondition of a work of art. Art is wholeness, Art is Brahman.
Review of "Baudelairer Lipika Paris Spleen", Tr. Gautam Paul
A Review of
“Baudelairer Lipika:Paris Spleen”
Translated by Gautam Paul,
Ananda Publishers, 2010.
Price: 200 INR
“Baudelairer Lipika:
Translated by Gautam Paul,
Ananda Publishers, 2010.
Price: 200 INR
The work under review is the first complete Bengali translation of Charles Baudelaire’s Paris Spleen, by Prof. Gautam Paul, Guest Lecturer, Post-Graduate Department of French,
Bengalees should be thankful to Prof. Gautam Paul for producing such a literary, yet quite readable translation of the Paris Spleen. The translator’s contention that it is the first subaltern poetry of the world provides enough impetus for further exploration of this particular aspect of Baudelaire’s works. Moreover, the learned translator is of the opinion that only a close reading of it convinces us of the popular misconception that Baudelaire is a poet of sexuality, and nothing but sexuality. The introduction, in spite of its small compass (be it remembered herein, the present work does not pretend to be a critical edition of the text, accompanied by Bengali translation, which the translator could have used for earning a Ph. D. of some university), presents essential information regarding the background – mental, literary – which shaped the fate of the Spleen. The section dealing with the probable influence of Baudelaire on Tagore’s Lipikâ, albeit scrappy, readily stimulates one towards further research, and it would be extremely scholarly of Prof. Paul if he publishes a booklet / monograph on this. The notes appended to the translation, though brief, are happily able to acquaint the general reader with the keynote of the passage glossed.
Coming to the language used for the translation, it is gratifying to find that the learned translator has shown much skill in creating verbal patterns by a judicious blending of literary Bengali with colloquial and spoken ones. Such a balanced translation as the present one is therefore quite successful in becoming a repository of intricate aesthetic experiences, and stirring up the minds of readers, otherwise constitutionally unfit for poetry, thus bearing the stamp of its livingness. As such Prof. Gautam Paul is to be congratulated upon his brilliant achievement.
Sudipta Munsi
Monday, November 1, 2010
কবি ও অধিতাত্ত্বিক
জ্ঞান আর অজ্ঞানের প্রশ্নের বিচারের অধিকার কেবলমাত্র অধিতাত্ত্বিকের। আসলে অনুভূতির উর্ধায়নে জাগে প্রকাশের বাসনা - আর এই বাসনারই ‘ধ্বনিচিত্রময়’ প্রকাশ হল সাহিত্য। এই সাহিত্য কেবল ভাব ও ভাষার নয়, বরং নিজের জ্ঞাত সত্তার সাথে অজ্ঞাত সত্তার, আর এই সাহিত্যিক দ্রবীভবনই একটি ধ্বনিচিত্রময়রূপের পরতে জানা-নাজানার বিভেদটুকুকে আচ্ছাদিত করে ফেলে সুনিপুণ তাঁতীর সূত্রযোগে শাড়ী বোনার মতঃ শাড়ীর সমগ্রতাটিই (wholeness or totality) শাশ্বত - তার উপাদান যথা, সুত্র, রং, প্রভৃতি নয়। অনুরূপ সাহিত্যের ক্ষেত্রেও তার ভাব, ভাষার, প্রভৃতির বিশ্লেষণের মাধ্যমেও আমরা যা পাই তা তার একদেশমাত্রের পরিচয়, সমগ্রের পরিচয় কেবলমাত্র তার সমগ্রত্বেই অবিনাভূতভাবে বিধৃত।
কাব্যের দ্বৈত ও অদ্বৈত
অর্থগ্রহণের চেষ্টা করলেই বস্তুত যেটা আমরা পাই বলে মনে করি সেটা জ্ঞান নয়, বরং একটি ‘অর্ধপ্রমুষ্ট জ্ঞানচ্ছায়া’, যার অবস্থান জানা-অজানার মধ্যবর্তী স্থানে। এই অর্ধ-জ্ঞান, যা দার্শনিকের মতে অজ্ঞানেরই নামান্তর, যদি আমাদের জানার আনন্দ দেয়, তাহলে সত্যি আমার মূঢ়মতি কারণ একদেশদর্শন কখনই সমগ্রের অভিজ্ঞানের প্রমাপক হতে পারে না। তাই ভাব ও ভাষার রমণীভূত অবস্থার যে সামগ্রিক জ্ঞান তা অর্থ-অনর্থের দ্বৈতাবসানকারী এক অখণ্ড বোধমাত্র, যার উপলব্ধির আকার হল উপনিষদের ভাষায় “অস্তীত্যেবোপলব্ধব্যঃ”। অন্যথা এই জ্ঞানাভাস বা “অর্ধপ্রমুষ্ট জ্ঞানচ্ছায়ার” বৈভূতিক প্রাচুর্য্যে বিহ্বল হয়ে আমাদের বলতেই হয়, “একী কৌতুক নিত্য নূতন ওগো কৌতুকময়ী/ আমি যাহা কিছু চাহি বলিবারে বলিতে দিতেছ কই।“
কাব্যের সত্য
সত্য সর্বদাই বিশ্বতোমুখ, তাই সত্যের আলোচনার ধারাও শতধা। এ যেন এক ‘অক্ষীয়মাণ শতধার উৎস’। গৌতমবাবুর গ্রন্থ সত্যি এক নতুন চেতনার স্রোতস্বিনীকে বইয়ে দিয়েছে, আর এই স্রোতস্বিনী থেকে আমরা তখনই লাভ করতে পারি যখন তার অনন্ত প্রবাহিনী রূপকে আমরা হৃদয়ে অবধারণ করে তাতে অবগাহন করতে পারব। তাতে নিত্য মিলনে নিত্য বিরহ হবে ঠিকই, কিন্ত এই ব্যথাই আমাদের তার দ্বারে নিয়ে যাবে, যে চির পুরাতন, আবার চির নতুন - ‘পুরোনতুন’, কুমারস্বামীর সেই ‘each’ যে ‘both’। কী পেয়েছি তার অভিব্যক্তি ইতিমুখে তো সম্ভব নয়ই, নেতিমুখেও নয়, শুধু বলতে পারি তা ‘অপূর্ব অদ্ভুত’!
কবিতার সরলতা বনাম পাঠকের দুরূহতা
একটী খুব পরিচিত ঘটনা উল্লেখ করতে ইচ্ছে করছেঃ বাল্মীকির শ্লোকরচনা। বলা হয়েছে শোক থেকে শ্লোক রচনার কথা। শোক একটী অনুভূতি (ক্ষমা করবেন একটীটী বড় বেশী ব্যবহারে অনন্তটী হয়ে যাচ্ছে, তবে tea-তে অনন্ত চুমুক দিতে দিতে হয়ত এটী দিব্যি সহ্য করা যায়)। কিন্তু শোকরূপ অনুভূতিটী যে শ্লোকরচনার মালমশলা যুগিয়েছে, তা বুঝতে শোকের বাইরে এসে একটা unperturbed witness consciousness বা নির্বিকার সাক্ষিচৈতন্যের ভূমিতে বাল্মীকিকে দাঁড়াতে হয়েছিল আর তখনই এই শ্লোকের মহিমাটী অনুভব করে একশ্লোকী মন্ত্র থেকে শ্লোকাত্মক কাব্য রচনা করে বাল্মীকি 'সৃষ্টি' করলেন আদিকাব্য। তাই বেদনা যেমন ব্যথা তেমনি অনুভূতিও বটে। আমার বক্তব্য এই যে, শুধুমাত্র আকূতি দিয়েই কি কাব্য হয়, না কি সেই inarticulate আকূতিকে articulate করবার জন্য কোন স্বতন্ত্র শক্তির (তাকে ‘প্রতিভা’ না অন্য কি নাম দেব জানিনা) প্রয়োজন? যদি শুধুমাত্র আকূতি হত তাহলে যার মনে শোক নেই তাকে শোকজাত শ্লোকসমন্বিত এই কাব্য নাড়া দিতে পারত? (যদিও আমি এটী ভুলে যাচ্ছি না যে এতে শোক ব্যতীত অন্যান্য অনুভূতিরও প্রকাশ আছে বৈ কি) Feeling-তো crude form-টা, তাকে emotion-এ (যা আমাদের motion দান করে, তবে এই গতি প্রগতি কি না জানিনা) transform করতে পারলে তবেই তো Art। মনে হয়, এই প্রশ্নের উত্তরটীর মধ্যেই কবিতার সরলতা বনাম পাঠকের দুরূহতা-রূপ দ্বন্দ্বের সমাধানটী নিহিত।
অনুবাদের মৌলিকতা ও পাঠকের স্বপ্রবঞ্চনা
… আমাদের বুঝতে অসুবিধা কেন হয় যে অনুবাদক্রিয়াটী শুধুমাত্র সাহিত্যক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়, বরং মনুষ্যজীবনই একটী অনুবাদক্রিয়া। সাহিত্যালংকারের রস যেমন আয়ুর্ব্বেদশাস্ত্র থেকে পরিগৃহীত, (এ’বিষয়ে অধ্যাপক রমেন্দ্রকুমার সেন কৃত ‘Aesthetic Enjoyment: Its Background in Philosophy and Medicine’, 1967, University of Calcutta দ্রষ্টব্য), তেমনই অনুবাদও সর্ব্বব্যাপক। আর বাকী রইল তত্ত্বের কথা, তত্ত্ব শব্দটীর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ তন-ক্বিপ্+ত্ব এই অনুসারে যদিও যাথার্থ্য, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা এটীকে বাস্তববর্জ্জিত logico-dogmatic evolution of the brain বলে স্বপ্রবঞ্চনায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। তাই ব্রহ্ম বা ভূমা বা বৃহত্তমই বেদান্তে একমাত্র তত্ত্ব, কিনা সৎ বা ত্রিকালে অবাধিত।
অনুবাদ কী?
অনুবাদ বলতে বাংলায় বোঝায় Translation, অর্থাৎ এখানে মূলের যাথার্থ্যের ছায়াচিত্রবৎ পরিবেশনই লক্ষ্য। কিন্তু অনুবাদ যে অনুকৃতি নয়, বরং মূলানুগ অনুসৃষ্টি, তা লুকিয়ে আছে ‘অনুবাদ’ এই সংস্কৃত শব্দটীর মধ্যে। অনু একটী উপসর্গ যার অর্থ পশ্চাৎ। কিন্তু এই পরবর্ত্তীত্ব কখনই নিকৃষ্টত্বের কিংবা অপ্রতিভতার জ্ঞাপক নয়, বরং তা অগ্রবর্ত্তীর অগ্রাধিকারকে উপবৃংহনের মাধ্যমে অগ্রাভিমুখ করবার অগ্রগণ্য প্রয়াস। তাই অনুবাদ, অন্তত আমার কাছে, অনুকৃতি নয়, অনুসৃষ্টি, কারণ অনুবর্ত্তন সর্বদাই উপবৃংহনোন্মুখ।
'লিপিকা' কী?
বোদল্যারের ‘লিপিকা’ আস্বাদনের আগে বুঝতে হবে ‘লিপিকা’ বলতে ঠিক কী বোঝায়। ‘লিপি’ শব্দটি সংস্কৃতে বোঝায় লিখিতাক্ষর পত্রাদি, বর্ণ, লেখন, প্রভৃতিকে। এখানে বিশেষ লক্ষণীয় হল ‘বর্ণ’ অর্থে ‘লিপি’ শব্দটির পর্য্যাবসান। ‘বর্ণ’ যেহেতু এইস্থলে কোন নির্দ্দিষ্টার্থের জ্ঞাপক নয়, তাই বর্ণ বলতে আমরা যেকোন বর্ণ বা রং-কেই গ্রহণ করতে পারি। অন্যথা, অব্যাপ্তিদোষ অনিবার্য্য। বর্ণ শব্দটির এইরূপ অর্থের অনির্দ্দিষ্টীকরণ বিশেষ তাৎপর্য্যপূর্ণ। ‘বর্ণ’ আবার কোন বস্তুর বহিরাঙ্গের (outward form or pattern)-এর দ্যোতক। তাই ‘লিপিকা’ সেইরকম এক সাহিত্যকৃতি যা একদিকে যেমন অনির্দ্দিষ্টবর্ণ, তেমনই অপরপক্ষে বহুমাত্রিকতার পরিজ্ঞাপক। তাই বহিরাঙ্গের বা রীতির দিক থেকেও ‘লিপিকার’ প্রচলিত সাহিত্যরীতিসমূহে (গদ্যই হোক্ বা পদ্য) অন্তর্ভুক্তিকরণ সর্বদা অনুচিত। ‘লিপিকা’ স্বয়ং একটি সাহিত্যরীতি বা literary form।
‘কবিতিকা’ যেমন রবীন্দ্রনাথের একটি স্বনির্মিত শব্দ [দ্রঃ Introduction, (p.3) Particles, Jottings, Sparks, by William Radice, Harper Collins, 2000], তেমনই ‘লিপিকা’ শব্দটিও তাঁর একটি নির্মিতি বলে আমাদের ধারণা। এই দুয়ের মধ্যে সাদৃশ্য শব্দদুটির অন্তস্থিত ‘কা’ অংশটিতে, যা সংক্ষিপ্ততার অভিজ্ঞাপক। তাই ‘লিপিকা’ রীতিতে রচিত সাহিত্যের অভিজ্ঞান তার সংক্ষিপ্তাবয়বে নিহিত। কিন্তু যেহেতু এটি অনির্দ্দিষ্টবর্ণ তাই এর মধ্যে কাব্যময়তার পাশাপাশি গদ্যের ছন্দোমাধুরীও বিদ্যমান - এটি গদ্যমাধুরীবিশিষ্ট কাব্যময় লেখনমাত্র, এককভাবে গদ্যও নয়, কবিতাও নয়, আর এখানেই তার অভিনবত্ব ও অ-পূর্বত্ব। তাই আমাদের মতে, রবীন্দ্রনাথের ‘লিপিকা’-র স্থান হওয়া উচিত রবীন্দ্ররচনাবলীর কাব্যখণ্ডগুলিতেও নয়, গদ্যখণ্ডগুলিতেও নয়, বরং একটি স্বতন্ত্র খণ্ডে বা ‘বিবিধ’ খণ্ডে।
Subscribe to:
Posts (Atom)