অর্থগ্রহণের চেষ্টা করলেই বস্তুত যেটা আমরা পাই বলে মনে করি সেটা জ্ঞান নয়, বরং একটি ‘অর্ধপ্রমুষ্ট জ্ঞানচ্ছায়া’, যার অবস্থান জানা-অজানার মধ্যবর্তী স্থানে। এই অর্ধ-জ্ঞান, যা দার্শনিকের মতে অজ্ঞানেরই নামান্তর, যদি আমাদের জানার আনন্দ দেয়, তাহলে সত্যি আমার মূঢ়মতি কারণ একদেশদর্শন কখনই সমগ্রের অভিজ্ঞানের প্রমাপক হতে পারে না। তাই ভাব ও ভাষার রমণীভূত অবস্থার যে সামগ্রিক জ্ঞান তা অর্থ-অনর্থের দ্বৈতাবসানকারী এক অখণ্ড বোধমাত্র, যার উপলব্ধির আকার হল উপনিষদের ভাষায় “অস্তীত্যেবোপলব্ধব্যঃ”। অন্যথা এই জ্ঞানাভাস বা “অর্ধপ্রমুষ্ট জ্ঞানচ্ছায়ার” বৈভূতিক প্রাচুর্য্যে বিহ্বল হয়ে আমাদের বলতেই হয়, “একী কৌতুক নিত্য নূতন ওগো কৌতুকময়ী/ আমি যাহা কিছু চাহি বলিবারে বলিতে দিতেছ কই।“
No comments:
Post a Comment