একটী খুব পরিচিত ঘটনা উল্লেখ করতে ইচ্ছে করছেঃ বাল্মীকির শ্লোকরচনা। বলা হয়েছে শোক থেকে শ্লোক রচনার কথা। শোক একটী অনুভূতি (ক্ষমা করবেন একটীটী বড় বেশী ব্যবহারে অনন্তটী হয়ে যাচ্ছে, তবে tea-তে অনন্ত চুমুক দিতে দিতে হয়ত এটী দিব্যি সহ্য করা যায়)। কিন্তু শোকরূপ অনুভূতিটী যে শ্লোকরচনার মালমশলা যুগিয়েছে, তা বুঝতে শোকের বাইরে এসে একটা unperturbed witness consciousness বা নির্বিকার সাক্ষিচৈতন্যের ভূমিতে বাল্মীকিকে দাঁড়াতে হয়েছিল আর তখনই এই শ্লোকের মহিমাটী অনুভব করে একশ্লোকী মন্ত্র থেকে শ্লোকাত্মক কাব্য রচনা করে বাল্মীকি 'সৃষ্টি' করলেন আদিকাব্য। তাই বেদনা যেমন ব্যথা তেমনি অনুভূতিও বটে। আমার বক্তব্য এই যে, শুধুমাত্র আকূতি দিয়েই কি কাব্য হয়, না কি সেই inarticulate আকূতিকে articulate করবার জন্য কোন স্বতন্ত্র শক্তির (তাকে ‘প্রতিভা’ না অন্য কি নাম দেব জানিনা) প্রয়োজন? যদি শুধুমাত্র আকূতি হত তাহলে যার মনে শোক নেই তাকে শোকজাত শ্লোকসমন্বিত এই কাব্য নাড়া দিতে পারত? (যদিও আমি এটী ভুলে যাচ্ছি না যে এতে শোক ব্যতীত অন্যান্য অনুভূতিরও প্রকাশ আছে বৈ কি) Feeling-তো crude form-টা, তাকে emotion-এ (যা আমাদের motion দান করে, তবে এই গতি প্রগতি কি না জানিনা) transform করতে পারলে তবেই তো Art। মনে হয়, এই প্রশ্নের উত্তরটীর মধ্যেই কবিতার সরলতা বনাম পাঠকের দুরূহতা-রূপ দ্বন্দ্বের সমাধানটী নিহিত।
No comments:
Post a Comment